তোমার গায়ে শকুনের প্রতিটি স্পর্শ আমার হৃদয়ে
বিস্ফোরন হয়ে প্রতিধ্বনিত হয়, আক্রোশে উন্মাদ হয়ে যাই।
তোমার প্রতি পশুদের খিস্তিগুলো ওদের উপরই সত্য হোক।
ন্যায্য দাবী আমাদের,
অন্যায্য, অবৈধ কতকিছু লুটে নিচ্ছে লোকে,তাই নিক।
আমাদের যৌথ স্বপ্নের ঘরে ওরা আগুন দিতে চায় কেন?
তুমি আমি কেউই এর কারণ জানিনা।
মানবতা ও শিক্ষা জননীর দিকে অনুনয়মাখা আহ্বানে চেয়ে
কোন লাভ হবেনা জানি, ন্যায়বান যুধিষ্টির তো যুদ্ধজয়ের মোহে
অনেক আগেই মিথ্যাচারে গা ভাসিয়েছে – তবুও পান্ডবের জয়ের আনন্দের
মাঝেও কি এতটুকু মিথ্যার গ্লানি এসে লাগেনি?
জয়োৎসবের আড়ালে যে কত করুণ বেহাগ বেজে চলছে,
তার বিন্দুমাত্র ওদের কানে যাবার জো নেই।
সুখবাদ্যের আড়ালে চাপা পড়েছে বিলাপ,
রঙের আবরণে ঢেকে গেছে টকটকে লাল রক্ত।
অদ্বিতীয়া
তুমিতো জানো, মানুষ ছাড়া সবকিছু অর্থহীন,
তাইতো মানুষের ডাকে মানুষকে বাঁচাতে রাজপথে বেধেছো ঘর,
মিছিলে উত্তাল জনতার চাইতে এমন মানবতা কোন মানবাধিকার সংস্থাও খুঁজে পাবেনা।
কিন্তু ওই তোষামুদে অন্ধ পূজারীদের কে বোঝাবে!
আর তাইতো ঈশ্বরের দোষত্রুটি যারা দাঁড়িপাল্লায় মাপতে বসছে,
তাদের কারোরই হাত-পা-মাথা কিছুই অবশিষ্ট নেই,
যারা এখনও টিকে আছে , মেরুদন্ড বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া,
নতমস্তকে অনুগত থাকা ছাড়া আর কিইবা করার আছে তাদের?
বিশ্বাস করো অদ্বিতীয়া, বিশ্বাস করো,
ভয় ছাড়া ওদের দ্বিতীয় কোন অস্ত্র নেই,
ঈশ্বরের লাথি ছাড়া ওদের কোন খাদ্য নেই,
রক্তাক্ত রাজপথ ছাড়া ওদের বিনোদনের বড়ই অভাব।
আর সামান্য আনুগত্য প্রদর্শন আজকাল কারো কারো কাছে,
জীবন নেয়ার চেয়েও সহজ।
০৮- ০৭-১৮