ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের গাছের নাম জানা শুরু হয় কার্জনের গাছ দেখেই। কত হরেক রকম গাছ আছে আমাদের এই কার্জনে, আর উদ্ভিদবিজ্ঞানের বাগানে ঢুকলে তো কথাই নেই। তবুও বাস্তবতা হচ্ছে চোখের সামনের অধ্যয়নের বিষয় থাকলেও চার বছর ধরে দেখা এই গাছগুলোর নাম জিজ্ঞেস করা হলে হয়তো আমাদের উদ্ভিদবিজ্ঞানেরই অনেক ছাত্র নাম বলতে পারবে না। যদিও অনেক বার নিজেরা চেষ্টা করেছি মুখস্ত করার তবুও হয়ে উঠে নি চেনা- এই গল্পটাই বলবে বেশিরভাগ।
আজকে আমরা এই কার্জনের গাছগুলির পরিচিতি নিয়েই এসেছি। যেহেতু গাছের সংখ্যা অনেক, তাই এই পর্বে আমরা শুধু বড় গাছগুলোকেই চিনে রাখবো। যা খুব সহজেই আমাদের নজর কাড়ে এবং হয়তো আমরা সবাইই কমবেশি এই গাছগুলোর ছায়ায় বসে আড্ডা দিয়েছি। অবস্থান সাপেক্ষে এরকম বড় বৃক্ষগুলির স্বল্প পরিচয় আশা করি সবাইকে গাছ চিনতে এবং তার উপকারীতা সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করবে।
কার্জনের যেসব গাছ নিয়ে কথা বলবো এ পর্যায়ে তাদের তালিকাঃ
- দেবকাঞ্চন
- বকুল
- সজিনা
- আমলকি
- তেতুল
- বর্ষা জারুল
- পলাশ
- গোলাপি কাঠগোলাপ
- শেওড়া
- পান্থপাদপ
- মেহগনি
- নাগেশ্বর
- নাগলিঙ্গম
- কুরচি
- রাজকড়ই
- ইউক্যালিপটাস
- কৃষ্ণচূড়া
- বসন্ত মঞ্জরী
- কাঠগোলাপ
- ঝাউ
- বট
- পলতে মাদার
- বোতলপাম
- উদয়পদ্ম
- ক্রিসমাস ট্রি
- কড়ই
- হলদেচূড়া
- সিলভার ওক
- স্বর্ণচাঁপা
- ঘোড়ানিম
- পাইন
- সাইকাস
- মেন্দা
- মনিহার এবং
- সোনালু
কার্জন হলের গেটে যেতেই হাতের বাম পাশে, কার্জনহল এর বাম পাশের দেয়াল ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে দেবকাঞ্চন। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia purpurea L.
Best safe and secure cloud storage with password protection
Get Envato Elements, Prime Video, Hotstar and Netflix For Free
Best Money Earning Website 100$ Day
#1 Top ranking article submission website
এটি একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ, আকারে খুব একটা বড় হয় না, খুব জোর ৪-১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই দেব কাঞ্চনের ফুল খু সুন্দর দেখতে। একে আমি খু সহজে চিনি এর পাতা দেখে। পাতাগুলো দেখলে মনে হয় দুইটা পাতাকে একসাথে গোড়ার দিক থেকে জোড়া লাগানো হয়েছে কিন্তু প্রান্তের দিক জোড়া লাগানো হয় নি। মানে মধ্যশিরা বরাবর একটা বড় খাঁজ আছে যেটা তাকে অন্যান্য গাছের থেকে আলাদা করে তুলেছে। বর্তমানে গাছটি আর নেই, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কেটে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে অর্কিড কাঞ্চনের একটি চারা রোপন করা হয়েছে।
তারপর আসে বকুল গাছ। বকুল গাছকে কেই বা না চিনে। খুব সুন্দর লম্বা গোলগাল একটা গাছ। Mimusops elengi L. নামে বিজ্ঞানীরা ভালো চিনি।
বকুল ফুলকে ছোট খাটো একটা সাদা শাপলার সাথে তুলনা করলে ভুল হবে না কিন্তু এর ঘ্রাণের কোনো জুড়ি নেই যার সাথে তুলনা করা যায়। আর ডালে ডালে যখন লাল লাল ফল ধরে থাকে খুব ভালো লাগে দেখতে।
বকুলের পরেই দেখা মিলে সাজনার। Moringa oleifera নাম দিয়ে গেছেন বিজ্ঞানী ল্যামার্ক।
এই সাজনার বহু গুন। আমাদের গ্রামের দিকে বাসায় বাসায় সাজনা একটা করে গাছ। এর ভঙ্গুর কান্ডের জন্য সাধারণত খুব একটা বড় না হলেও ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। কান্ড নিয়ে যখন বলছি তখন এর কান্ডের আরেকটু বর্ণনা দিয়েই দিই। এর কান্ড দেখেই মনে হয় দুর্বল, কর্কের মত দেখতে কিছুটা যদিও কচি অবস্থায় একটু সবুজ বর্ণের হয়। আর এর পাতা দেখে অনেকেই কড়ই মনে করতে পারে কিন্তু একটু ভালোভাবে দেখলে বুঝা যায় কড়ই এর পাতার সাথে সাজনা পাতার গঠন এবং সজ্জায় একটু ভিন্নতা আছে। তাছাড়া এর ফুলগুলোও তো ভিন্ন যা উপযুক্ত পরিবেশে বছরে দুই বার দেখা দিতে পারে। ও, সাজনার একটা গুন সম্পর্কে না বললেই না। এর বেচে যাবার ক্ষমতা মানে রিজেনেরেশন পাওয়ার এতটাই বেশি যে মাত্র ১.৫-২ হাতের সমান একটা ডাল মাটিতে রোপণ করলেও সেখান থেকে নতুন গাছ জন্মাতে পারে। মজার বৈশিষ্ট্য না!
এরপর আমলকি বা আমলার কথা। Phyllanthus emblica L. নামে পরিচিত এই আমলকি অনেকেই চিনি কিন্তু আমলকির গাছ দেখেছি এমন আছে কয় জন। সমস্যা নাই, আজ এখানেই দেখা পাওয়া যাবে এর।
আমলকির পাতা যৌগিক এবং দেখতে কিছুটা দ্বিধার বিশিষ্ট করাতের মত। গাছে যখন আমলকি পরিপক্ব হয় তখন পাতা ঝরে গেলেও প্রায় ২০ মিটারের মত উঁচু গাছ থেকে আমলকি সংগ্রহ করা খুব একটা সহজ কাজ না।
এই দিক দিয়ে আবার তেতুলের গাছ একটু সংরক্ষণশীল, পাতা দিয়ে তেতুলকে আড়াল করে রাখে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tamarindus indica L.
রাখবেই বা না কেন, বিশালাকার কান্ড, ২৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখার পরও পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে একটা ঢিল ছুঁড়ে একটা তেতুল পেড়ে খেতে একবার না একবার মন চাইবেই।
বর্ষা জারুল নামেই তাকে চিনি। কিন্তু অন্য নামও প্রচলিত আছে। জারুলের পরিবারের তো তাই ফুলগুলো দেখতে জারুলের মতই কিন্তু এর সাদা, গোলাপি দুই তিন বর্ণের মিশ্রণ একে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বড় ধরনের গাছ।
এরপরে দেখা মিলবে পান্থপাদপের সাথে, একে আবার ট্রাভেলার’স ট্রি বলেও অনেকে চিনে । মজার বিষয় হলো এর দেহের ধরন। উপরের দিকটা দেখতে কলা গাছের মতো আর নিচের দিকটা তাল বা নারিকেল গাছের মতো। এমন উদ্ভিদ গুলোই হয়ত আমাদেরকে হাইব্রিড বা সংকরায়নের পূর্ব ধারণা দিয়েছিলো।
মেহগনি তো তার বিশালাকৃতির দেহের জন্যই রোপিত হয়। বেশ ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায়। আর এর বীজ কিন্তু তেতো বলে ডায়াবেটিস এর রুগীদের জন্য বেশ উপকারী।
মেলিএসি পরিবারের বলে পাতার একটা পাশ একটু চাপা হয় আর দেহের বাকলগুলো ফেটে যায় বলে একে চিনতে মোটেও অসুবিধা হয় না। ও, এর ফল গুলো দেখে মনে হবে এক একটা মাইক্রোফোন, যেন সে সেগুলো দিয়ে সবার কথা শুনে।
Couroupita guanensis abul. নামে যে আছে সেই নাগলিংগম বা ক্যানন বল গাছের এর বর্ণনা দেয়ার আগে তার ফুলের বর্ণনাটা দিয়ে ফেলি কারণ এমন ফুল আর দ্বিতীয় আছে কি না সন্দেহ আছে।
চমৎকার তার গঠন লাল পাপড়ি আর তার মাঝে আছে অনেক অনেক এন্থার যেগুলো সুন্দর ভাবে বিন্যস্ত। এর পাতাগুলোও তেলচকচকে সুশ্রী রূপ। ফুলের দেখা না পেলে এতে ঝুলতে থাকা কামানের গোলার মত ফল দেখেও একে চেনা যায়।
দুইধারে নাগলিংগম আর তাদের মাঝে কুরচি। আরো কিছু নামের একটি হৈমন্তী।
এই উদ্ভিদটার ফুলগুলো সুভ্র সাদার একটি সুন্দর উদাহরণ। যখন ফুল ধরে তখন এর পাতাগুলো ঝরে গিয়ে পুরো গাছটাই শুধু দেখা যায় মন কাড়া সাদা সাদা ফুলগুচ্ছ।
এই কুরচির পাশেই আবার ইয়া লম্বা একটা রাজ কড়ই এর গাছ দাঁড়িয়ে আছে, আমার তো আবার রাজ কড়ই এর চেয়ে গগন শিরিষ নামটাই বেশি পছন্দ। বৈজ্ঞানিক নাম হলো Albizia richardiana (Voigt) King & Prain.
আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বড় বড় গাছগুলোর মধ্যে এটি একটা। নিচে কোনো ডালপালা কিছুই না একদম কান্ডটা অনেক উঁচুতে গিয়ে অল্পকিছু পাতা আর শাখা দেখা যায়। এতই উঁচু যে এর ফল ফুল প্রতিবছর হলেও এপর্যন্ত আমার চোখে দেখার সৌভাগ্য হয় নি।
এতক্ষণ শুধু বাম পাশই দেখলাম, এবার একটউ ডান দিকেও দেখি কি আছে। এই ডান পাশের প্রথম যে বিল্ডিং সেটি হলো ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট । এর আগেই ডান পাশে চোখ মেললেই দেখা যায় তার প্রথমটা হলো ইউক্যালিপটাস। এটা লেবু পাতার সুগন্ধ বিশিষ্ট একটা গাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Eucalyptus citriodora.
দেখে মনে হয় কেউ সাদা চুন এর দেহে লাগিয়ে দিয়েছে। বেশ লম্বা চওড়া একটা গাছ ভুতের মত এর একটা কোনায় দাঁড়িয়ে আছে।
আর তার পাশেই আছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। সত্যি বলতে আমি মনে করি যদি কোনো ক্যাম্পাসে শোভাবর্ধনের জন্য পাঁচটি গাছ লাগানো থাকে তার একটি হবে এটি। গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে যেনো এর গাছ থেকে লাল আভা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর সামনে আছে বসন্তমঞ্জরী । এই বসন্তমঞ্জরীর কান্ডটা দেখে হয়ত কিছুটা রোগাক্রান্ত হাড় সদৃশ কোনো দেহ মনে হতে পারে কিন্তু যখন এর গোলাপি বর্ণের ফুল আসে তখন এর রুপ হয়ে উঠে আকর্ষণীয়। এর আগমনের সময়ের জন্য একে মাঝে মাঝে ডাকা হয় ফাল্গুনমঞ্জরী ।
তবে এই ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সীমানার শেষ যে গাছ তা হলো কাঠগোলাপ। থোকায় থোকায় ধরে থাকে সাদা সাদা কাঠগোলাপ। এই কাঠগোলাপের বৈজ্ঞানিক নাম Plumeria alba.
।এর পাতা গুলোর টিপটা একিউট আর Plumeria obtusa নামে যে কাঠগোলাপ দেখি সেটির পাতার টিপটা গোল হয়।
তারপর যদি পদার্থ বিজ্ঞান আর ট্রিপলই এর মাঝামাঝি যে রাস্তাটা সেটির দিকে যাওয়া যায় তাহলে দুই তিনটা ঝাউ গাছের দেখা পাওয়া যায়।
আর জহির ভাইয়ের ক্যান্টিনের পাশে মানে বিজ্ঞান কারখানার সামনে আছে একটা বট গাছ। তার তলায় বসে বসে খেয়েছি কত কত খাবার। যদিও পাখির একটা ভয় সবসময়ই তাড়া করতো।
আর তার ঠিক সামনে কার্জনহল মেন বিল্ডিং এর দিকে আছে পলতে মাদার গাছ। সারা দেহে কাঁটাযুক্ত দেখতে একটু হলদেটে বুড়োর মতো।
বোতল পাম নামে এক গাছ আছে কার্জনহল গেটের সামনে।
নাম Roystonea regia. প্রথমে দেখে পামগাছ বলে ভুল করেছিলাম কিন্তু এর কান্ডটায় আছে পাম কিংবা তাল গাছের থেকে একটু ভিন্নতা। তাছাড়া এই গাছগুলো এখন রাস্তার ধারে বেশি যাচ্ছে এর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য।
আমাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গাছ যেটি কার্জনহলের মাঠকে দুইটি কেন্দ্রে বিভক্ত করে নিজের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দাড়িয়ে আছে সেটি হলো উদয়পদ্ম। সে নিজেই খুব সুন্দর, তার গঠন অন্যান্য গাছের সাথে মিলে না। পাতাও নিজেস্ব স্বতন্ত্র একটা পরিচয় বহন করে। পাতাগুলো একপিঠ বাদামী তামাটে আর অন্যপিঠ সবুজ যার ফলে দূর থেকে দেখলেই বুঝা যায় সামনে উদয়পদ্ম আছে। এটি আবৃতবীজী উদ্ভিদের মধ্যে আদিমতম গুলোর একটি।
কার্জন হলের মেন বিল্ডিং ঠিক বিপরিত দিকে আছে ক্রিসমাস ট্রি। এদের ক্রিসক্রস পাতা দেখতে খুব ভালো লাগে। কেমন আলাদাই সুন্দর দেখতে। এদেরকে মাঙ্কি পাজল নামেও ডাকা হয়।
এপ্লাইড কেমিস্ট্রি ডিপার্মেন্টের সামনে, আছে একটা বিশাল কড়ই গাছ। এর ফুলগুলো দেখতে কিছুটা পাওডার পাফের মতো। এত উঁচুতে থাকে যে দেখে বুঝায় যায় না।
তার পাশেই আছে হলদেচূড়া গাছ। অনেকের কৃষ্ণচূড়া আর এর মাঝে পার্থক্য করতে কষ্ট হয়। সত্যি বলতে এই হলদেচূড়ার পাতাগুলো বেশি গাঢ় সবুজ বা ডার্ক গ্রীন হয় আর এর বিন্যাস কৃষ্ণচূড়ার মতো ছড়ানো না।
আর কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সামনে দাড়িয়ে আছে একটা ওক গাছ। এর পাতা গুলো আলাদায় সুন্দরভাবে বিন্যস্ত। শামীম তো এই ধরনের গাছ দেখলেই বলে বিদেশী গাছ।
কেমিস্ট্রি আর বায়োকেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের মাঝে বোটানি ডিপার্টমেন্টের সামনে যে যায়গাটা আছে সেটা সবার স্মৃতির, সবার আবেগের, নাম স্বপ্নচত্ত্বর। এখানে আছে আগের বর্ণনাকৃত কাঠগোলাপ, পান্থপাদপ আর কেন্দ্রে আছে স্বর্ণচাঁপা। এই স্বর্ণচাঁপার ফুলের ঘ্রাণ মোহনীয়।
এর সামনে আছে বাগানবিলাস আর ঘোড়ানিম গাছ। বাগান বিলাস এমনভাবে জড়িয়ে আছে যেনো যে কেউ দেখে একে চিনতে ভুল করে বসবে, ভাববে হয়ত নতুন কোনো প্রজাতি।
আর এর একটু পাশেই আছে পাইন গাছ যার উপস্থিতি চোখে পড়ে জিরিজিরি পাতাগুলোর জন্য।
এইবার আসি কার্জন হলের শেষ প্রান্তের ডিপার্টমেন্ট বায়োকেমিস্ট্রির সামনে। এখানে দেখা যায় গাছের সমারোহ, চাইলে বলা যায় গাছ-পালায় ভরা। গগন শিরিষ গাছটা উঁচু বলে সবার নজরটা আগে কাড়ে। যদিও এমনটা হওয়ার কথা ছিলো বোটানি ডিপার্টমেন্টের সামনে। তাই তো ডিপার্টমেন্ট থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার পথে স্যারেরা এইদিকে বেশি লক্ষ্য রাখেন।
যাই হোক, শুরুতেই যেটা আকর্ষণ করে সেটা হলো নগ্নবীজী উদ্ভিদ সাইকাস। বেশ উচু আর পুরোনো এর দেখা পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্য।
তারপর আসে মেন্দা। মাঝারি আকারের এই উদ্ভিদের ফলগুলোর ঘ্রাণ আমাকে খুব টানে।
মনিহার বা তুমার অস্তিত্ব বুঝা যায় এর নিচে পড়ে থাকা অজস্র ফুলের স্রোতে। একদম গাছের নিচে যেনো মনে হয় গোলাপি বর্ণে ভরে যায়।
আরো দেখা পাওয়া যায় সোনালুর। যখন হলুদ ফুলগুলো থোকায় থোকায় ফুটে থাকে দেখে মনে হয় যেনো কেউ মালা বানিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এরপরেই কার্জনহল এর দ্বিতীয় গেট।
কার্জনহলের আরোকিছু রত্নদের আমার পরবর্তী পোস্টে পরিচয় দেয়া হয়েছে।
রেফারেন্সঃ
- ড. মোঃ আবুল হাসান 2016, পরিচিত ফুলগুলো., আশরাফিয়া বইঘর ঢাকা।
- এন.এস. নওরোজ জাহান ২০০৭,বাংলাদেশের ফুলের রাজ্য., বাংলা একাডেমি ঢাকা।
- https://www.researchgate.net/publication/307410433
Special thanks to:
Abulais Shomrat Vai…
Get Free Netflix Now
Best safe and secure cloud storage with password protection
Get Envato Elements, Prime Video, Hotstar and Netflix For Free