This part is continuation of Part 1 of the topic!!
4. প্রফেসর শর্টলিস্ট করার কাজ শেষ, এখন কি করব?
এখন হচ্ছে আপনার সবচাইতে গুরুতপুর্ন পদক্ষেপ। প্রফেসর দের কে ইমেইল করা। ইমেইল করার সময় অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমি সেই ব্যাপার গুলো একটা একটা করে পয়েন্ট আকারে লিখে দিচ্ছি।
প্রথমে আপনার একটি মেইল ড্রাফট তৈরি করতে হবে। বিশাল রচনা লিখতে যাবেন না ভুলেও, তাহলে রিপ্লাই পাবার আশা আগে থেকেই ছেড়ে দিন। ইমেইল এ কোন কোন জিনিস লিখা উচিত তা আমি নিচে বলছি।
Best safe and secure cloud storage with password protection
Get Envato Elements, Prime Video, Hotstar and Netflix For Free
Best Money Earning Website 100$ Day
#1 Top ranking article submission website
ইমেইল এ কি কি থাকবে?
আপনার নাম, কোথা থেকে পড়াশুনা করেছেন, আপনার রেজাল্ট , বর্তমানে কি করছেন আপনার রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড, থিসিস কি নিয়ে করেছিলেন সেই টপিক টা মেনশন করে দিয়েন আপনার পাবলিকেশন সংখ্যা (যদি থেকে থাকে) এবং গুগল স্কলার সাইটেশন নাম্বার টাও মেনশন করে দিয়েন. কেন আপনি এই প্রফেসর কে email করছেন? তার কাজের সাথে আপনার কাজ কিভাবে মিল হয়? মনে রাখবেন, ইমেইল করার আগে অবশ্যই প্রফেসর এর প্রোফাইল ঘেঁটে দেখবেন, তার কিছু পেপার এর এবস্ট্রাক্ট পরে দেখবেন ।সম্ভব হলে সেই প্রফেসর এর একটি পেপার সম্পর্কে লিখবেন জেনো সে বুঝতে পারে যে আপনি তার প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করে তারপর ইমেইল দিয়েছেন। যদি প্রফেসর এর প্রোফাইল এ দেখেন যে লিখা আছে যে এখন আর স্টুডেন্ট নিচ্ছেন না তাহলে খালি খালি তাকে ইমেইল করে কোন লাভ নেই.
কখন ইমেইল পাঠাবেন?
মোটামুটি সেপ্টেম্বর থেকেই প্রফেসরদের ইমেইল করা উচিত. একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এক ই ইউনিভারর্সিটির একই ল্যাবের দুইজন প্রফেসর কে একই দিনে ইমেইল করবেন না. অন্তত ২-৩ দিন পর পর ইমেইল দিবেন।
Canada er সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য ১২ ঘন্টা। মেইল করার সময় তা গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবেন ইমেইল গুলো কানাডা সময় সকাল ৯ টা থেকে ১২ টার ভিতর পাঠানোর। এই সময় প্রফেসররা অফিস এ থাকে এবং আপনার মেইল তখন সাথে সাথে দেখার একটা সুযোগ থাকে। আপনি চিন্তা করুন, আপনাকে যদি কেউ রাতে ১২ টায় ইমেইল পাঠায় সেটা আপনি সহজে দেখতে চাবেন না। সকাল হতে হতে আপনার মতন আরো অনেকেই তাকে মেইল দিবে এবং আপনার ইমেইল টা নিচে চলে যাবে।
কানাডাতে সরকারি ছুটি শনি এবং রবিবার, তাই এই দুই দিন আপনি প্রফেসরদের থেকে রিপ্লাই পাবেন না. তাই এই দুই দিন ইমেইল না করে ভালো.
রিমাইন্ডার ইমেইল:
প্রফেসর থেকে রিপ্লাই না পেলে আপনি ৪-৫ দিন পর একটি রিমাইন্ডার ইমেইল দিবেন।
5. প্রফেসরদের রিপ্লাই:
প্রফেসরদের রিপ্লাই পাওয়া টা খুব সহজ একটা ব্যাপার না। প্রফেসরদের ইমেইল কে মোটামুটি 4 ভাগে ভাগ করে নিতে পারা যায়। আমি 4 ধরনের রিপ্লাই এর ব্যাপার এই এখানে লিখছি.
Thank you for your email but currently I do not have any opening position: এই ইমেইল টা দেখেই বোঝা যায় যে প্রফেসর এর ল্যাব এ এই মুহুর্তে যায়গা খালি নেই, এখানে আসলে কিছু করার নাই।
Thank you for your email. The admission is done centrally: এই ইমেইল টা আসলে অনেক বেশি পাওয়া যায়, এই ইমেইল টা আসলে অনেকটা প্রথমটার মতন ই, প্রফেসর খুব বেশি ইন্টারেস্টেড না আপনার প্রতি।
Thank you for your email. I would encourage you to apply and put my name as your potential supervisor: এটা একটা পসিটিভ রিপ্লাই, এখানে প্রফেসর আপনার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড কিন্তু হয়ত উনার কাছে অনেক বেশি স্টুডেন্ট মেইল করেছে এবং যাদেরকে উনার পছন্দ হয়েছে তাদেরকে উনি এই ইমেইল টা দিচ্ছেন। এটা অনেকটা ৫০-৫০ ব্যাপার। অবশ্যই এপ্লাই করবেন সেখানে, ব্যাপার টা অনেকটাই এখন আপনার ভাগয়ের উপর.
Thank you for your email. Your profile fits in my lab we can have a meeting: এটা হচ্ছে সবচাইতে পসিটিভ রিপ্লাই। এই রকম ইমেইল পাওয়ার মানে হচ্ছে প্রফেসর আপনার ব্যাপারে খুবি ইন্টারেস্টেড এবং আপনার সাথে মিটিং এ আপনার ব্যাপারে আরও ডিটেইল এ যানতে চাচ্ছেন।
প্রশ্নঃ আমি তো প্রফেসর দের কোন রিপ্লাই পাচ্ছি না, আমি কোথায় ভুল করছি?
এটা আশায় রাখবেন না কখনোই যে যাদের ইমেইল করছেন সবার থেকে আপনি রিপ্লাই পাবেন। প্রফেসর দের থেকে রিপ্লাই পাওয়া টা খুব কষ্টসাধ্য। মাঝে মাঝে দেখা যাবে যে আপনি ১-২শ প্রফেসরদেরকে ইমেইল করেও কোন রিপ্লাই পাচ্ছেন না, অনেক ধরনের ভুল আপনি করে থাকতে পারেন।
6. প্রফেসরদের সাথে মিটিং এ কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবঃ
যদি প্রফেসরদের থেকে পসিটিভ রিপ্লাই পেয়ে যান তাহলে হয়ত আপনাকে একটি অনলাইন মিটিং এর জন্য ডাকা হবে। সেখানে প্রফেসর আপনার ব্যপারে আরও বিস্তারিত জানতে চাবে। এই মিটিং এর ব্যাপারে কিছু টিপস:
প্রথমেই একটি ভালো মাইক এর ব্যাবস্থা করবেন, যেটাতে কথা খুব ক্লিয়ার ভাবে শুনতে পাবেন এবং বলতে পারবেন
এমন একটি যায়গায় মিটিং টা করার চেষ্ঠা করবেন যেখানে কোলাহল কম. একটু ভালো পোশাক পরে মিটিং এ এটেন্ড করলে ভালো, কিছু কিছু প্রফেসর ভিডিও ইন্টারভিও নিতে পছন্দ করে.
অবশ্যই মিটিং এর পুর্বে প্রফেসর সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করে যাবেন। কারণ একটা গুরুতপুর্ন প্রশ্ন যেটা হয়ত আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে সেটি হচ্ছে কেন আপনি উনার সাথে কাজ করার ব্যাপারে ইচ্ছা পোষণ করছেন। এই প্রশ্নের উত্তর এর উপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করে। প্রফেসর বর্তমানে কি নিয়ে কাজ করছেন সেই সম্পর্কে ঘাঁটবেন সাথে তার খুব রিসেন্ট কোন একটা রিসার্চ পেপার পরে বুঝে নিয়েন।
পুরোটা সময় নিজেকে কনফিডেন্ট রাখার চেষ্টা করবেন, কোন কিছু “বাড়িয়ে” বলবেন না। সব কিছু সত্য বলবেন।
7. এখন এপ্লাই করা শুরুঃ
এখন আপনি যেই যেই প্রফেসর থেকে ভালো রিপ্লাই পেয়েছেন সেই যায়গাগুলোতে এপ্লাই করার পালা। এপ্লাই করার আগে ক্রেডিট কার্ড এর ব্যাবস্থা করে রাখবেন। সব যায়গাতে এপ্লাই করতেই আপনার একটি এপ্লিকেশন ফি দিতে হবে।
একটা ছোট ইনফরমেশন দিয়ে রাখি। কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ গুলোর জন্য এপ্লিকেশন ফি ওয়েভ করে দেয়। যেমনঃঃ ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ এলবার্টা।
এখন এপ্লিকেশন শুরু করার আগে কি কি দরকার হবে।
স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাসঃ
এটার সম্পর্কে তো আপনাকে আগেই বলেছি, প্রত্যেক যায়গা তে এপ্লাই করার সময় এই জিনিস টি সাথে সাবমিট করতে হবে। অবশ্যই এসওপি ইউনিভার্সিটি এবং ডিপার্টমেণ্ট এর নাম পরিবর্তন করে নিবেন। আমার পরিচিত একজন এক ইউনিভার্সিটি থেকে রিজেকশন পেয়েছিলো শুধু মাত্র এই ভুলটির জন্য।
রিকমেন্ডেশন লেটারঃ আপনার এপ্লিকেশন এ যেই জিনিসটা অন্যতম গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবে সেটি হচ্ছে রিকমেন্ডেশন লেটার। এটি হচ্ছে মূলত একটি লেটার যেটাতে আপনার শিক্ষক, আপনার সুপারভাইজর বা অন্য কেউ আপনার ব্যাপারে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরবে।
আমি অনেককে দেখেছি যে ইন্টারনেট থেকে কপি করে রিকমেন্ডেশন লেটার দিয়ে দেয়। এটা আপনার জন্য খুব খারাপ কিছু নিয়ে আসতে পারে। রিকমন্ডেশন লেটার টা আপনার ব্যাপারে স্পেসিফিক হতে হবে। আপনার কাজ, আপনার সম্পর্কে সবকিছু লিখা থাকতে হবে। সাধারণত দুই-তিনজন এর রিকমন্ডেশন লেটার দরকার হয়।
মনে রাখবেন, এপ্লিকেশন এর সময় আপনাকে শুধু রেফারির পরিচয় চাওয়া হবে এবং পরবর্তিতে তার কাছে একটি ইমেইল চলে যাবে লেটার সাবমিট করার জন্য। সুতরাং ব্যাপার টা এমন না যে একটা লেটার রেফারির থেকে নিয়ে আসলেন, সেটাই সাবমিট করবেন সবসময়। যতগুলো ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করবেন, আপনার রেফারির প্রত্যেকবার সেই ইউনভারসিটির দেয়া নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে রিকমেন্ডেশন লেটার সাবমিট করতে হবে। আপনার রেফারি কে এই ব্যাপারে আগেই একটু অবগত করে রাখবেন।
তাহলে এখন কথা হচ্ছে কার থেকে রিকমন্ডেশন লেটার নেয়া উচিত?
৩ জন রেফারির ক্ষেত্রে সবচেয়ে আদর্শ আমার মনে হয়
আপনার থিসিস সুপারভাইজর
আপনার একজন কোর্স টিচার/হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট
আপনি যদি কোথাও চাকরিরত থাকেন আপনি যার আন্ডারে কাজ করছেন তিনি
২ জন রেফারির ক্ষেত্রেঃ
আপনার থিসিস সুপারভাইজর
এমন একজন যে আপনাকে খুব সময় নিয়ে দেখেছে, আপনার সম্পর্কে খুব ভালো বলতে পারবে
সার্টিফিকেটঃ আপনার সকল ধরনের সার্টিফিকেট এবং ডকুমেন্ট এর সফট কপি।
এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স/ব্যাচেলর, মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট (এটেস্টেড না হলে সমস্যা নেই)
আইএলটিএস এর সার্টিফিকেট
পাসপোর্ট
বার্থ সার্টিফিকেট/ এনআইডি
ব্যাস এইগুলো হয়ে গেলে আপনি এখন এপ্লিকেশন এর জন্য রেডি। এপ্লাই করে ফেলেন। অবশ্যই ডেডলাইন এর ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন, কারণ এক এক ইউনিভার্সিটির ডেডলাইন এক এক সময় হয়। এপ্লিকেশন এর ট্রাক রাখার জন্য এমন একটা ডকুমেন্ট রেডি করে ফেললে সবচেয়ে ভালো
8. অপেক্ষার পালাঃ
এপ্লাই শেষ হয়ে গেলে এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আস্তে আস্তে এক এক ইউনিভার্সিটি থেকে রেজাল্ট দিবে। ফল সেমিস্টার এর জন্য মোটামুটি মার্চ থেকে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির রেজাল্ট আসা শুরু করে। কোন ইউনিভার্সিটিতে আপনি এখন যাবেন এটা এখন আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি আমার নিজের দিক থেকে যদি একটা সাজেশন দিতে চাই সেটি হচ্ছে, শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটির কিং এর দিকে লক্ষ করে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবেন না। আরো অনেক গুলো ব্যাপার কে একটু মাথায় রেখে নিবেন। যেমন, আপনার সুপারভাইজর কেমন, সেই সুপারভাইজর এর আন্ডারে যারা কাজ করে গিয়েছে তাদের থেকে যদি সম্ভব হয় একটু আইডিয়া নিন। কারন সুপারভাইজর অনেক বড় একটা ব্যাপার।
9. ভিসা এপ্লিকেশনঃ
আশা করি এই স্টেপ এ আশার মানে হচ্ছে আপনি কোন ইউনিভার্সিটি তে সুযোগ পেয়ে গেছেন। এখন হচ্ছে আপনার স্টাডি পারমিট এর এপ্লিকেশন এর পালা।
And after this , you have completed a big step towards your dreams.
আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কিছুটা হলেও সাহাজ্য করবে সম্পুর্ন প্রসেস টা বুঝতে।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.